ঋতুর রানী শরতের স্নিগ্ধতা নিয়া আসে চির আনন্দময়ী, বিশ্বজননী দেবী দুর্গার আগমনী সন্দেশ । আদ্যাশক্তি মহামায়ার দেবী দুর্গারূপে অকাল বোধনের এই শুভক্ষণে আকুল প্রার্থনা, সকল মানুষের জন্য শুভাশীষ, জগতের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধির। প্রাগ্রসর মুক্তবুদ্ধির চর্চা, মুক্তচেতনার বহুমাত্রিক বিকাশে আন্ত:ধর্মীয় সম্পর্ক বিকশিত হোক। উত্পাটিত হোক ধর্মীয় কুপমন্ডুতার মূল । ধর্ম-বর্ণের প্রাচীর উতরে শারদীয় দুর্গোত্সব সকল বাঙ্গালীর প্রাণের উত্সবে পরিণত হোক সার্বজনীন অংশগ্রহনের মাধ্যমে । এই উত্সব প্রকাশিত এবং অপ্রকাশিত সাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তি নামক অসুরকে বধের শক্ত্তিকেন্দ্রে পরিনত হোক। শারদীয় দুর্গোত্সবের শিক্ষা বঙ্গমাতার সকল সন্তানকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে, ভাতৃত্ববোধের দীক্ষা গ্রহনের মধ্য দিয়ে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সুখী-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িকতা সোনার বাংলা বিনির্মাণে ঐক্যবধ্য করুক । আনন্দ-কল্যাণের এই মাহেন্দ্রণে সবাইকে শারদীয় দুর্গোত্সবের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।
শারদীয় দুর্গোত্সব ২০১৫ সালের এই আনন্দঘন মুহুর্তে যারা উত্তরা সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে উত্তরায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে অকুন্ঠ সহযোগিতা ও পৃষ্টপোষকতা দিয়েছেন তাদেরকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ, বিশেষ করে সাবেক মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় এডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি যিনি সার্বক্ষণিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন এবং দিয়ে যাচ্ছেন তার জন্য তাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি । স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ, উত্তরার বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এবং ব্যক্তি যারা পূজা উদযাপনে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছেন তাদেরকে পূজা কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি । এছাড়া বিজ্ঞাপন দিয়া যারা নৈবেদ্য'র কলেবর সমৃদ্ধ করেছেন এবং আমাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ।
ইতোমধ্যে স্থায়ী মন্দির নির্মানের জন্য জমির প্রাথমিক বরাদ্দপত্র রাজউক থেকে প্রদান করা হয়েছে এজন্য রাজউক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি । আশাকরি তারা শীঘ্রই চূড়ান্ত বরাদ্দপত্র ইসু করে জমিটি বুঝিয়ে দেবেন ।
উত্তরায় বসবাসকারী হিন্দু ভাই-বোনদের দীর্ঘদিনের বারংবার দাবী সত্তেও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মৃতদেহ সৎকারের কোন ব্যবস্তা বা শ্মশানের জন্য উত্তরায় রাজউক এখনো কোনো স্থান বরাদ্দের ব্যবস্থা গ্রহন করেনি । তাই আবারো রাজউক কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের মানবিক আবেদন, উত্তরায় হিন্দুদের মৃতদেহ সৎকারের জন্য অতিসত্তর উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক তথা শ্মশানের জন্য নদী, খাল বা লেকের পাড় সংলগ্ন নির্জন এলাকার স্থান বরাদ্দ করা হোক । এ ব্যাপারে আমাদের স্থানীয় এমপি এবং অভিভাবক এডভোকেট সাহারা খাতুন মহোদয়ের আশু সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।
২০১৫ সালের সার্বজনীন দুর্গোত্সবে সকল ধর্মের মানুষের মিলন মেলায়, আজ এই হোক আমাদের শপথ; সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের ঐক্যবদ্ধ হাতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে তুলি ক্ষুধাহীন, বৈষম্যহীন, দারিদ্রমুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত সুজলা, সুফলা, শষ্য, শ্যামলা, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ।
প্রকৌশলী খোকন চন্দ্র পাল
সাধারণ সম্পাদক
উত্তরা সার্বজনীন পূজা কমিটি